আবাসিক, শিল্প ও ট্যানারির বর্জ্যে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী। নদীর উজানে ফটিকছড়ির ভূজপুর এলাকায় দুটি রাবার ড্যামের (বাঁধ) কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে হালদা নদীর একটি অংশ। নদী থেকে নির্বিচারে বালু তোলায় এর মাটির গঠন নষ্ট হচ্ছে। তীরে একের পর এক গড়ে ওঠা ইটভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে নদীর মাটি ও পানি।
নদীর ১১টি স্থানের বাঁক সমান করে ফেলায় মাছের বিচরণ ও প্রজনন কমে গেছে। হালদা নদীর উপর এত অত্যাচার করেও ক্ষান্ত হয় নি সাধারণ মানুষ। সেই সাথে হালদা নদীতে এখন সরাসরি সংযোগ দেয়া হচ্ছে টয়লেটের পাইপলাইন। সম্প্রতি হালদার বুড়িশ্চর এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা সেপটিক ট্যাংকির খরচ বাঁচানোর জন্য টয়লেট থেকে সরাসরি পাইপ দিয়েছেন হালদায়। ডিম পাড়ার মৌসুম ঘনিয়ে আসছে।
নির্বিচারে মা মাছ নিধন, টয়লেট ও শিল্পকারখানার বর্জ্য সরাসরি হালদায় ফেলার প্রবণতা হ্রাস করা না গেলে হালদার পরিবেশ আরও বিপর্যস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয়রা জানায়, খালের পাশে যাদের বাড়িঘর আছে বেশির ভাগ লোক এ ধরনের কাজ করে থাকেন। তারা খরচ বাঁচাতে সবাই টয়লেটের লাইন সরাসরি ছোট খালের মধ্যে দেয়। যার কারণে ওই ছোট খালের দূষিত পানি গিয়ে হালদা নদীতে পড়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, হালদা নদীতে অভিযান চালাতে গিয়ে দেখি এক বাড়ির টয়লেটের লাইন সরাসরি হালদা নদীতে দেয়া হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকির খরচ বাচানোর জন্য তারা এ কাজ করেছে। বিকেলের মধ্যে এ লাইন অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপসারণ না করলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রকম আরও যারা টয়লেটের পাইপ লাইন হালদায় যুক্ত করছে তাদেরকে সতর্ক ও সচেতন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান রুহুল আমিন।