মেহেদী হাসান চৌগাছা শাহাদৎ পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এবং তার বাবা শ্রমিক নেতা মোশাররফ হোসেন । তাদের গ্রামের বাসা কোঠালিপুর বর্তমানে তারা পরিবারসহ চৌগাছা পৌর এলাকার ঋষিপাড়ায় ভাড়ায় থাকেন।
নিহত মেহেদীর পিতা চৌগাছা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান,
আজ মঙ্গলবার সকালে তার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু সে সকাল হলেও ঘুম থেকে না উঠা দেখে ছেলের রুমের দরজা ধাক্কায়। তার ডাকার পরেও সে দরজা না খুললে সেটি ভেঙে দেখি ঘরের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে ঝুলে আছে।
তিনি বলেন তার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, তাই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করার জন্য চৌগাছা থানায় আবেদন করবেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেহেদির একাধিক বন্ধু জানিয়েছে মেহেদির একটি পালসার মোটরসাইকেল ছিল। সম্প্রতি সেটি বিক্রি করে দেয় তার পিতা। মেহেদির দাবি ছিল আরেকটি মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার। কিন্তু তার পিতা কোনভাবেই তাতে রাজি হচ্ছিলেন না। একারণে সে বাবার উপর অভিমান করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তার মৃত্যুতে এলাকায় শেকের ছায়া নেমে এসেছে।