পবন
“””””””””
প্রেম সোহাগী শীতল হাওয়ারা দলের স্রোতে
প্রেমের বাতাস বহে,
প্রকৃতিতে চলছে পবন খেলা স্বভাবের গতিতে
শন্ শন্ ধ্বনিতে কহে।
বিকেলে বুকের বোতাম খুলে কত পুরুষ দেয়
দক্ষিনা হাওয়ার পরতে,
বাতাস এসে জুড়িয়ে দেয় দেহ মন প্রকৃতির
ঋতু শরতে।
বাতাস না থাকলে গরম লাগে অসহ্য জীবন
সব সৃষ্টি কূলের,
সেই পবনই ঠান্ডা নামায় আবার এই ভবেতে
শীতে সকলের।
পবনে সবুজ দোলে বাতাস পেলে, পত্র নাচে
পানি ও সাথে নড়ে,
বাতাসের গতিতে ধুলো কণারা উড়ে বেড়ায়
পারের বালুচরে।
বাতাস যখন হতাশ হয় সঙ্গত কারণে
সে, আসেনা ধরায়,
আকাশের শুন্যে থেকেই উথালে মাতালে ঘুরে
এদিক সেদিক গড়ায়।
বাতাস হাঁটলে সৃষ্টির ক্লান্তির উপকার
শুধু দৌড়াইলে ভয়,
পবনের হাঁটার চুড়ান্ত রুপকে, মানুষেরা
পবনের দৌড় কয়।
পবন যখন অধিক মেজাজে দৌড় মারে
তখন ঝড় বলি তাকে,
গাছ পালা ঘড় বাড়ি সবে তান্ডব চালায়
জোড় করে ঝাঁকে।
কখনো আবার হাওয়ার ভয়ানক রুপ ধরে
পবনের মনে রাগ জমলে,
ভেঙ্গে চুড়ে তছ নছ করে যায় দূুর বহুদূর
টর্নেডো তাকে বলে।
বাতাসের গতি বাড়লে কখনো,আওয়াজ করে
বিজলী ভয় দেখায়,
বিজলীর ভয়ে পবন তার ঝড়ের গতি কমায়
হঠাৎ ধমক-কে ডরায়।
মানুষের ভয় দেখাইতে ভবে অনেক সময়
পবন হয় অসাধারণ,
সাধারণ চলনে কত আরাম পায় সৃষ্টিকূলেরা
তার অনিন্দ বিশুদ্ধাচরণ।
বাতাসে কার্বনডাই ভাসে যা,মানুষের নিশ্বাস
ও ধুলো ময়লা থেকে যায়,
আরো কত সূত্র থেকে আসে এই কার্বনডাই
গাছ ডেকে বলে আয়।
গাছ যখন নিশ্বাঃস ছাড়ে নিয়মের আদতে
মানুষ সে নিঃশ্বাস টানে,
মানুষ যেটা ছেড়ে যাচ্ছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস
গাছ খেয়ে বাঁচে প্রাণে।
বাতাস হলো সৃষ্টির জীবন বন্ধু তাহাছা চলেনা
সে সেবা দিতে আসে,
তাকে আমরা ক্ষেপিয়ে তুললে নানান কৌশলে
সে দৌড়ের উপর হাসে।
পবন বলো, বাতাস বলো, প্রকৃতির নেয়ামত
আল্লাহ ভালো বুঝেন,
একটু খানি গরম পড়লে কষ্ট লাঘবে পবনকেই
সবাই খোঁজেন।
কাথা লেপ কম্বল মুড়ি দিতে বাধ্য করে শীত
আসে, সৃষ্টি জগত কাঁপায়,
একটু গরমের আশায় দলিত মথিত শয়ন করে
ভেতরে পবন নাচায়।।
“”””””””‘”””””””’’”””””””””’’”””””’
কবি
তোফায়েল আহমেদ।
তারিখ – ০২-০৯-২০১৯ ইং
©copyrightসংরক্ষিত®||
—————————————-