এজি লাভলু: চিলমারী নৌবন্দর ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদে দুইটি পাথর বোঝাই জাহাজ ১৫ দিন ধরে আটকে আছে। ভারতের আসাম থেকে ছেড়ে আসা জাহাজ দুটিতে ৫০০ মেট্রিক টন পাথর আছে বলে জাহাজের নাবিকরা জানিয়েছেন।
পাথর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, কুড়িগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুল হকের অনুমোদন নিয়ে দুটি জাহাজসহ ভারতের আসাম প্রদেশের ধৃপড়ি নৌবন্দরে ১৫ জুলাই পৌঁছাই। পাথর লোড করে ভারতে কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও আইডাব্লিউএআই অনুমোদন নিয়ে ২৫ জুলাই বাংলাদেশের চিলমারী নৌ-বন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ হয়। ২৫ জুলাই থেকে পাথর বোঝাই (এমবি ঈগল ও এমবি বদিউজ্জামান-২) জাহাজ দুটি এ্যাসেসমেন্ট না করে আটকিয়ে রেখে নানা টালবাহানা করছেন কাস্টমস্ কর্মকর্তারা। জাহাজ দুটি আটক থাকার কারণে আমাদের প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
পাথথের ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া বলেন, পাথর বোঝাই জাহাজ দুটি ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে নদীর মাঝখানে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। ঝড় বৃষ্টিতে জাহাজে পানি উঠছে যে কোনো মুহূর্তে জাহাজ দুটি নদীতে ডুবে যেতে পারে।
কুড়িগ্রামের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুল হক বলেন, আমাদের কাছে কোনো চিঠি আসে নাই, চিঠি পেলে মালামালে এ্যাসেসমেন্ট করা হবে। চিলমারী নৌ-বন্দরে আমাদের কাস্টমসের লোক নিয়োগ থাকবে তারা এ্যাসেসমেন্টের কাজ করবে।
রংপুর কাস্টমস্’র (সেক্রেটারি ২য়) কর্মকর্তা আকতার হোসাইন জানান, ব্রহ্মপুত্র দিয়ে নৌরুটে আমদানির বিষয়ে উভয় দেশের চুক্তি হলেও বাস্তবিক পক্ষে আমরা এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। এটি তদারকি করতে চিলমারী পয়েন্টে আমাদের লোকবল এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। জাহাজ দুটোকে সাময়িকভাবে ‘চলতশক্তিহীন’ করে রাখা হয়েছে মাত্র। তারা আবেদন করেছেন। কাগজপত্র ঠিক হলেই জাহাজ দুটো ছেড়ে দেওয়া হবে।