মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা,প্রতিনিধি) যশোরের চৌগাছায় নাপিতের ছেলে শিমুল কুুুুমার সহ ১৪ জন পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শিমুল কুমার উপজেলা হাকিমপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের হরেন দাসের ছেলে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিফাত খান রাজিব সহ বেশ কিছু পুলিশ অফিসার শিমুল কুমারের গ্রামের বাড়ি তাহেরপুরে পুলিশ ভেরিফিকেশনে গেলে, তার পিতার ছেলের বিনা টাকায় ও তদবিরে চাকুরির হওয়ায় আনন্দে কেঁদে ফেলেন।
তিনি উপস্থিত পুলিশ অফিসারদের কে জানান, তিনি পেশায় এক জন নাপিত। মেধা ও যোগ্যতায় তার ছেলের চাকুরী হওয়ার তিনি পুলিশ সুপার মহোদয় এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চৌগাছা থানা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, গত ২২, ২৬ এবং ২৭ তারিখে যশোর জেলা পুলিশ কতৃক ১৯৩ জন পুলিশ কনস্টেবল প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়। যার মধ্যে চৌগাছা থানা থেকে মোট ১৪ জন নিয়োগ পেয়েছেন ।
নির্বাচিতদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে প্রার্থী এবং তাদের পরিবারের আনন্দ এবং আবেগ দেখে চৌগাছা থানার কর্মকর্তারা অভিভূত।
১৪ জনের মধ্যে এক জনের পিতা পেশায় নাপিত, একজনের পিতা পেশায় রাজমিস্ত্রী, ৮ জনের পিতা পেশায় কৃষক ও অন্য একজনের পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
তাদের প্রত্যেকের অভিভাবক বিনা টাকায় তাদের সন্তানদের চাকরি হওয়ায় আনন্দে আত্মহারা।টাকা বা তদবির ছাড়া পুলিশের চাকরি হবে তা অনেকেই বিশ্বাস করতে চায়না।
তারা সকলেই যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়কে প্রান ভরে দোয়া করেন। কোন প্রকার তদবির ছাড়া শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এবারের নিয়োগ হওয়ায় চৌগাছার ১৪টি দরিদ্র পরিবারে আজ আনন্দের বন্যা।
তাদের সকলেই যশোর জেলার পুলিশ সুপার মহোদয় এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।কারন পুলিশ সুপার যশোর মহোদয় নিয়োগের শুরুতেই কথা দিয়েছিলেন যশোরে পুলিশ এর নিয়োগ হবে ১০০% মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে, কোন প্রকার তদবির বা দুর্নীতি এই নিয়োগে স্পর্শ করতে পারবেনা।পুলিশ সুপার মহোদয় তার কথা রেখেছেন।
জানাগেছে, যশোরের ৮ উপজেলা থেকে শিমুল কুমারের মত অনেক কৃষক, মজুর, সেলুন কর্মচারী, রিক্সাচালকের ছেলে ও মেয়েরা পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী পেয়েছেন। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে যশোর জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম, পিপিএম বার এর নিপেক্ষতা ও সচ্ছতার কারনে।
এ জন্য যশোরে জেলা পুলিশ সুপারের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে জেলার সব থানা গুলোতে।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, যশোর পুলিশ লাইনে গত ২২ জুন হতে ২৬ জুন পর্যন্ত ট্রেইন রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারন কোটা পুরুষ ১৬০৬ জন নারী ১৯৩ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষ ৯৯, নারী ১৫ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ২৫ জন, আনসার ও ভিডিপি ৫ জন, এতিম কোটা ৭ জন সর্ব মোট ১ হাজার ৯ শত ৫০ জন শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্রে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয় ১ হাজার ৬৯জন।
পরবর্তীতেগত ২৭ জুন লিখিত ও মোখিক পরীক্ষায় ৩ শত ৫৪জন উত্তীর্ন হয়। এরমধ্যে সাধারন কোটায় ১ শত ৩৬ জন পুরুষ, ৬০ জন নারী, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২১ জন পুরুষ, ২জন নারী ও পুলিশ পোষ্য কোটায় ৪জন পুরুষ তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিনা টাকায় প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়।
chat free dating site
chat adult
Work relieves us from three great evils boredom vice and want.